ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পাহাড়ে ৭ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় ইউপিডিএফ’র নিন্দা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
পাহাড়ে ৭ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় ইউপিডিএফ’র নিন্দা

রাঙামাটি: পাহাড় থেকে সাত ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। 

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানানো হয়।

সংগঠনটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠক শান্তি দেব চাকমার বক্তব্যে বলা হয়- গত ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বিধান চাকমার নেতৃত্বে জেএসএস সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীরা দীঘিনালার বাবু ছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা  শৈব রঞ্জন চাকমার ছেলে মোহন লাল চাকমাকে খাগড়াছড়ির  দীঘিনালা সদরে ডেকে সেখান থেকে অপহরণ করে মেরুং-এর মনের মানুষ এলাকায় নিয়ে যায়।

পরে আট লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার জেএসএস সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীরা একই জেলার দীঘিনালার ২ নম্বর বোয়ালখালি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাট্টলী মুরো গ্রামের বাসিন্দা রতন কুমার চাকমার ছেলে কালা চাকমাকে (৩৫) অপহরণ করে। পরে তাকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টায় জেএসএস সংস্কারবাদীরা খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মায়াফা পাড়া থেকে তীর্থ মোহন ত্রিপুরার ছেলে চন্দন ত্রিপুরাকে (৪৫) নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহরণের পর তার মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু যথাসময়ে ধার্যকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
 
জেএসএস সংস্কারবাদীরা গত ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাঙামাটির নানিয়াচর বাজার থেকে দক্ষিণ মরাচেঙ্গী গ্রামের তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে। এরা হলো- প্রভাব চন্দ্র চাকমার ছেলে জয়ধন চাকমা (৩৫), বড় পেদা চাকমার ছেলে ভাগ্যধন চাকমা (৩৮) ও মুরতি রঞ্জন চাকমার ছেলে অনাময় চাকমা (২৭)। তাদের মুক্তির জন্য পরিবারের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে রূপকারী ইউনিয়নের গলাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা নোয়ারাম চাকমাকে অপহরণ করা হয়। সংস্কারবাদীরা তাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতনের পর ছেড়ে দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে শান্তি দেব জানান, গত বছর নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত জেএসএস সংস্কারবাদীরা মোট ২৬ জনকে খুন ও কমপক্ষে ৯২ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ইউপিএিফ’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরণ চাকমা জানান, জেএসএস সংস্কার পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

তবে এ ধরনের ঘটনা অস্বীকার করেছে জেএসএস সংস্কার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক নেতা বলেন, ইউপিডিএফ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।