শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতু প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বারবার বলেছেন পদ্মা নদীর নামে সেতুর নামকরণ করা হোক।
‘প্রধানমন্ত্রী সৎ সাহস দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। সে কারণে ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব ফান্ডে সেতু নির্মিত হচ্ছে। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, সেতুর নামকরণের বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে বহু চিঠিপত্র এসেছে, সবার অভিমত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ হোক। জনমতের চাপ প্রতিনিয়ত অনুভব করে ‘শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু’ নাম রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে এবং সেজন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে সামারিও (সারসংক্ষেপ) পাঠানো হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু থেকে সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহস দেখান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একক সাহসের সোনালি ফসল পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। তার একক অবদানের জন্য এই সেতু নির্মিত হচ্ছে। স্বপ্নেও ভাবতে পারি না সাহায্য ছাড়াই এই সেতু নির্মাণ হচ্ছে। তাই ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মাসেতুর নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু’।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, আগামী বছরেই পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হবে। পদ্মাসেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৫৯ শতাংশ ও মূল সেতুর অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্প এলাকায় এসে ৬০ শতাংশ কাজের উদ্বোধন করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের প্রমুখ।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ। মূল সেতুর নদীর মধ্যে ২৬২টি পাইলের মধ্যে ১৭৯টি পাইল ফুল ড্রাইভিং এবং ১৩টির বটম সেকশন ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ২ প্রান্তের দুইটি ট্রান্সসিশন পিয়ারের ৩২টি পাইলের মধ্যে ৩২টি শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ১২টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। ২১টি পিয়ারের কাজ চলমান আছে। মাওয়া সাইটে ট্রাস এসেছে ১৭টি এর মধ্যে পাঁচটি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের ৩৬৫টি পাইলের মধ্যে ৩৬৫টি পাইল শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
আরএ