শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলজিয়ামের পার্লামেন্টে তারা সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি-শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাতকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ও মানবিক সব সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভূতপূর্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।
তিনি আরও বলেন, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নারীর এ অগ্রযাত্রা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সাক্ষাতকালে মি. শিকফ্রেড ব্রেক বলেন, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুব সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ তবে এক্ষেত্রে বেলজিয়ামে প্রবীণ জনগোষ্ঠী অধিক হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা চাপ সৃষ্টি করেছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে যুব সমষ্টির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে বেলজিয়াম ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। এ ইস্যূতে বেলজিয়াম বাংলাদেশের পাশে আছে ও থাকবে।
এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী ও বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
এর আগে স্পিকার ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন ফর রিলেশনস উইথ কান্ট্রিস অফ সাউথ এশিয়ার চেয়ার মিজ জেন ল্যাম্বার্ট এমইপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি জলবায়ু ইস্যূতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বমূলক ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করতে এশিয়া-ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপকে (আসেপ) শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
সাক্ষাতকালে জেন ল্যাম্বার্ট বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
পিআর/আরআইএস/