শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জেলার গুইমারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর চৌধুরীর স্ত্রী পিংকি রায় চৌধুরীকে (২৫) হাসপাতালে নিয়ে আসে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন (সাগরের স্বজন)।
এদিকে, পিংকির মাথা, মুখ, হাতসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তার মরদেহটি মাটিরাঙ্গা থানা হেফাজতেই রয়েছে।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে একজন নারীসহ চার থেকে পাঁচজন লোক মিলে পিংকি নামের ওই গৃহবধূকে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে আমরা বুঝতে পারি গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে এবং বিষয়ে তাদের জানাই। তখন তারা কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে বিষয়টি জানাই।
তিনি আরও বলেন, পিংকির সঙ্গে আসা লোকদের মধ্যে একজন তাকে ভাবি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি বলেছিল, গুইমারার দার্জেলিং টিলায়।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গৃহবধূর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ওই গৃহবধূর মরদেহ ফেলে রেখে তার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছেন। তাদের আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এডি/টিএ