শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পাঠাগারে বৈঠক চলাকালে তাদের আটক করা হয়। এসময় সাতটি উগ্রবাদী বই ও তিনটি লিফলেট জব্দ করা হয়।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানায় র্যাব-৫।
আটকরা হলেন-বড়াইগ্রাম উপজেলার দোগাছী গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে জেএমবির গায়েরে এহসার জোবায়ের হোসেন (৩৫), একই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ (৩৬), গোনাইহাটি গ্রামের মৃত বেলাল উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন আব্বাস (৩৮), দোগাছী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২), বর্ণি গ্রামের রজব আলী সরকারের ছেলে জাকারিয়া (২৩)।
র্যাব-৫ সিপিসি-২ এর নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আজমল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১৯ জুলাই নাটোর জেলার সদর থানাধীন রুইয়েরভাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উগ্রবাদী বইসহ তিন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়-নাটোর জেলায় জেএমবি সদস্যরা বিভিন্ন আঞ্চলিক ইউনিটে বিভক্ত হয়ে সদস্য সংগ্রহ, ফান্ড তৈরি ও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার কাজ করছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।
এরূপ নজরদারির একপর্যায়ে এ সংগঠনের কিছু সক্রিয় সদস্য জেলার কোনো এক স্থানে জমায়েত হবে, এরূপ তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় এলাকার পরিত্যক্ত পাঠাগারের ভেতরে গোপন বৈঠক করা অবস্থায় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার গায়েরে এহসার জোবায়ের হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
এসময় সাতটি উগ্রবাদী বই, তিনটি উগ্রবাদী লিফলেট, চারটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি সিম কার্ড, দু’টি মেমোরি কার্ড, দু’টি এনআইডি কার্ড, দু’টি টর্চলাইট ও নগদ ৯২৪ টাকা জব্দ করা হয়।
এএসপি আজমল হোসেন আরো জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআ’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য এবং সংগঠনের বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
এছাড়া তারা আরও স্বীকার করেন, এর আগে র্যাব কর্তৃক আটক জাহিদুল, আমজাদ, জহিরের সঙ্গে তারা একতাবদ্ধ হয়ে নাটোর অঞ্চলে জেএমবিকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় মিটিং উগ্রবাদী বই বিতরণ, শারীরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, ইয়ানতের টাকা আদায়, জিহাদি দাওয়াত ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে এবং দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে- জোবায়ের বড়াইগ্রাম উপজেলার দোগাছী ইউনিটের গায়েরে এহসার। তিনি শারীরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন অস্ত্র সম্পর্কে তার প্রাথমিক ধারণা আছে। এছাড়া তিনি নতুন সদস্য সংগ্রহ ও জিহাদি দাওয়াত প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮/আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা
এসআই/আরএ