রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে দাবি গুলো তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন।
নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জাতির পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের আইনের আওতায় আনা, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন তৈরি, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে তা বাস্তবায়নে বিসিএস প্রিলিমিনারি থেকে কোটা শতভাগ বাস্তবায়ন করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চলমান সব নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কোটার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা, ১৯৭২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্য পদগুলোতে এ বছরই নিয়োগ দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে পেনশন, বোনাস, রেশনসহ সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ তাদের উত্তরসূরীদের সব চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করা, স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনে হামলাসহ দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া।
এছাড়াও মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্য সবার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দেশে তারা ও তাদের বংশধররা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতে পারে না। সচিব কমিটির এ সিদ্ধান্ত সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনার প্রশাসন গড়ে তোলার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এইচএমএস/এএইচ/আরআইএস