রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশালের বটতলা এলাকার আভাস ট্রেনিং সেন্টারে ইউনএফপিএ-র সহায়তায় একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দুর্যোগকালীন লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ’ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সকালে স্কাইপের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহা-পরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম।
এ সময় তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন সময় নারীর প্রতি হয়রানি ও সহিংসতা বন্ধে সবাইকে একজোট হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের আলোচনায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আসতে হবে। কারণ নারীর নিরাপত্তা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নারী-পুরুষ সমান সুবিধা পাবে। আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোতেও নারীদের যুক্ত করতে হবে। এছাড়া দুর্যোগে নারী ও কন্যা শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নারীদেরও সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই একশনএইড বাংলাদেশের ম্যানেজার কাশফিয়া ফিরোজ বলেন, দুর্যোগের সময় নারীরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার হন। এমনকি ত্রাণ সংগ্রহের সময়ও সহিংসতার শিকার হন তারা। তাই দুর্যোগে সাড়া দেওয়ায় আমরা যারা কাজ করি তাদের পরিকল্পনার মধ্যে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে দুর্যোগে নারীকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন শিল্পী তার বক্তব্যে বলেন, দুর্যোগে নারীদের সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করে তা প্রতিকার করতে হবে। কারণ আমরা এমন সমাজ ও পরিবেশ চাই যেখানে নারী-পুরুষের অবাধ চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
দুর্যোগে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এবং সহিংসতার শিকার নারীর সুরক্ষার লক্ষ্যে ইউএনএফপি-এর সহায়তায় ‘দুর্যোগকালীন লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক সিরিজ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে একশনএইড বাংলাদেশ।
সরকার ঘোষিত বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ ২২টি জেলায় কর্মরত বেসরকারি সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণগুলোর আয়োজন করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কিভাবে দুর্যোগের সময় নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায় সেই বিষয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের এবং কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা এবং বরগুনা এই চারটি জেলার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে প্রথম প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। আভাস, জাগো নারী ও সুশীলনসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানের ২৪জন ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএস/এএটি