বুধবার (৭ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনায় প্রথমে তিনজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ হন পাঁচজন।
নিহত আটজন হলেন- আরমনগর মহল্লার ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন (৩৭), তার বাবা দুলাল হোসেন, মা মোমেনা বেগম (৬৫), স্ত্রী পরিনা বেগম, তিন মেয়ে হাসি, খুশি ও জেএসসি পরীক্ষার্থী বৃষ্টি এবং এক বছরের ছেলে আব্দুর নূর। এদের মধ্যে প্রথমে মারা যান মোমিন, মোমেনা ও বৃষ্টি।
ঢামেকে নেওয়ার পথে বাকি পাঁচজনের মৃত্যু হয় বলে বাংলানিউজকে জানান মোমিনের শ্যালিকা সুখী বেগম।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এর আগে রাতে দুর্ঘটনার পর জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেছিলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান, দগ্ধ পরিবারের অন্য পাঁচ সদস্যকে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম দগ্ধ পাঁচজনের বিষয়ে বলেছিলেন, তাদের শরীরের ৭০-৭৫ শতাংশই দগ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮/আপডেট ০৯০০ ঘণ্টা/ আপডেট ০৯৪০ ঘণ্টা
জেডএস/এইচএ/