বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকার ওই ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ভবনটির নিচে কেমিক্যাল কারখানা থেকে আগুন ধরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের অপারেটর জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, চকবাজার চুরিহাট্টা এলাকায় একটি ভবনে আগুন লাগার পর আরেকটি ভবনে ছড়িয়ে গেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে মিলে আগুন নেভাতে কাজ করছেন স্থানীয়রা। যে যেভাবে পারছেন পানি সরবরাহ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে সাহায্য করছেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে পুরো এলাকা প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। তবে আশপাশের এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত দেখা গেছে পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্যকে। ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা সর্বপ্রথম একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। সেই সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
অগ্নিকাণ্ডের পর এখন পর্যন্ত যে দগ্ধ ব্যক্তিরা ঢামেকে ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন- রেজাউল (২১), জাকির হোসেন (৫০), সেলিম (৪৫) আনোয়ার (৫০) মোস্তাফিজ (৪০), জাহিদুল (২৮), ইভান (৩০), মাহমুদ (৫৭), রামিম (১২), সালাউদ্দিন (৫০), মোজাফ্ফর হোসেন (৩২) সোহাগ (২৬) সোহান (৩৫) ফজর আলী (২৫), হেলাল (২৫) ও সুজন (৪০)। এদের মধ্যে প্রথম দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে- আল আমিন (৩৫), কাউছার (৩০), জাহাঙ্গীর (২৩), ছালাম (৩০), রবিউল (৪০), সালাউদ্দিন (৩৪), আনিছুর রহমান (৫০), তানজিল (১৪), রমজানের (১২) নাম জানা গেছে। এদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত আছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, দগ্ধদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। জরুরি বিভাগ ও বার্ন ইউনিটে তাদের চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এজেডএস/পিএম/ওএইচ/ডিএসএস/এমএমআই/এইচএ/