মধ্যরাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট ৬৭টি মরদেহ ঢামেকে পৌঁছেছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মরদেহগুলোর মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ ৫ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।
ঢামেক মর্গ থেকে একটি সূত্র জানান, সেখানে মরদেহ রাখার জন্য ২০টি ফ্রিজ আছে। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ১২টি ফ্রিজ নষ্ট। বাকি আটটি ফ্রিজে আগে থেকেই মরদেহ রাখা আছে।
সূত্রটি আরো জানান, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একে একে মরদেহগুলো আসছে। মর্গে মরদেহের স্তূপ জমে গেছে। সংরক্ষণের জায়গা নেই। সংরক্ষণ করতে মর্গের লোকেরা হিমশিম খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মর্গে মরদেহ রাখার ফ্রিজ নষ্ট। গত ১৭ ফ্রেরুয়ারি ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে আমাকে চিঠি দিয়েছে। আমি চিঠিটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করি শিগগিরই নষ্ট ফ্রিজগুলো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এতগুলো মরদেহ সংরক্ষণের জায়গা আমাদের কলেজ মর্গে নেই।
ঢাকা মেডিকেল ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট পেলেই আমরা মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করবো। আগুনে পুড়ে অনেক মরদেহ কালো হয়ে গেছে। বিকৃত মরদেহ চেনা যাচ্ছে না। সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এজেডেএস/এএ