সেতু বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বেলা সোয়া ৩টার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কাদেরকে নিয়ে আইসিইউ ও সিসিইউ সুবিধা সম্বলিত একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
সেসময় বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব ধরনের প্রটোকল সুবিধা তিনি পাচ্ছেন।
ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠীর পরামর্শে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।
দুপুরে কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
তখন তিনি বলেন, দেবী শেঠীর পরামর্শে তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুর নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে দুপুর ১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান ডা. দেবী শেঠী। দুপুর দেড়টার দিকে কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে বিএসএমএইউ-তে প্রবেশ করেন দেবী শেঠী।
এর আগে রোববার (৩ মার্চ) রাতে সংবাদ সম্মেলনে ডা. কনক কান্তি বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার চিন্তা করা হলেও পরে সেখান থেকেই ঢাকায় আসা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আপাতত সিঙ্গাপুর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার (৩ মার্চ) ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ২ নম্বর বেডে রাখা হয় তাকে। এনজিওগ্রামে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমএএম/এজেডএস/ইএআর/আরআর