সোমবার (১১ মার্চ) সকালে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিরাজুল পেশায় একজন জেলে বলে জানা গেছে।
মেয়েটির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে একাই বাড়িতে ছিল নিপীড়নের শিকার ওই মেয়েটি। এই সুযোগে প্রতিবেশি সিরাজুল মেয়েটিকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি সংলগ্ন চরের বাঁধে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সেসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তিনি পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতেই ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মেয়েটিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওই হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শারমিন আকতার লাকি বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সিরাজুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এসআরএস