ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল দাবি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল দাবি ডাকসুর পুনঃতফসিলের দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের করে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ প্যানেল।

নির্বাচনের পর সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে সিনেট ভবনে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের কাছে নির্বাচনে ভোট কারচুপির লিখিত অভিযোগ দেয় ছাত্রদল, বাম সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা।

পুনরায় তফসিলের দাবি জানিয়ে বাম সংগঠনগুলোর প্যানেলে ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, সকাল ৮টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভোটগ্রহণে ব্যাপক কারচুপির ঘটনা ঘটেছে।

হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব কায়েম রয়েছে বিধায় অনুষদে ভোটকেন্দ্র করার জোরালো দাবি জানিয়েছিলাম আমরা।

যেখানে নারীদের হলে দখলদারিত্ব তুলনামূলক কম সেখানে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল, রোকেয়া হল, কবি সুফিয়া কামাল হলসহ বিভিন্ন হলে হাতে-নাতে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে বলে জানান ছাত্র নেতারা।  

অন্যান্য হলগুলোর সামনে লাইন জ্যামিং করে শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক ইশতিয়াক সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন।  

এতকিছুর পর ডাকসুর ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপাচার্য মিথ্যাচার করে চলেছেন। হল প্রভোস্টসহ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা এই ভোট জালিয়াতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ফেডাশেনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি করে বর্তমান প্রশাসন নজিরবিহীন দলদাসত্ব ও প্রশাসনিক দখদারিত্বের বাজে উদাহরণ তৈরি করলো। ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটের অধিকার ও মর্যাদাকে চরম আঘাত করলো। ডাকসুর ভোট জালিয়াতির দায় প্রশাসনের। ডাকসু’র ভোট ডাকাতি করে প্রশাসন তার লেজুরবৃত্তির চরিত্রকে সবার সামনে স্পষ্ট করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এমএএম/এসকেবি/পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।