ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গিবাদে মাদ্রাসার ছেলেদের দোষ দিলে হবে না

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
জঙ্গিবাদে মাদ্রাসার ছেলেদের দোষ দিলে হবে না

ঢাকা: মাদ্রাসা, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের কারখানা এ ধরনের বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের কারখানা,এ কথার সঙ্গে আমি এক মত নই।

সোমবার (১১ মার্চ) রাতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা এবং একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের কারখানা, আমি এর সঙ্গে এক মত নই।

কেনো একমত নই। আজকে হলি আর্টিজানে যে ঘটনা ঘটেছে বা যে কয়টা জঙ্গি ঘটনা ঘটেছে সেখানে কারা জড়িত।

>>>আারও পড়ুন...জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান বলেই আ’লীগের বিজয়

তিনি বলেন, ইংরেজির মাধ্যমে পড়াশোনা করা, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান- তারাই কিন্তু জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে চলে গেছে। শুধু মাদ্রাসার ছেলেদের দোষ দিলে হবে না। হ্যাঁ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কিছু হয়তো ব্যবহার হতে পারে।

কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রদান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসাকে আমরা বাদ দিতে পারি না। কওমি মাদ্রাসায় পাঁচটা ভাগ। তাদের সঙ্গে বসে আমি জানতে চেয়েছি সেখানে কি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তারা লেখাপড়া করে কি করছে। তারা আলাদা আলাদাভাবে সনদ দেয়। তাদের কেউ কাজ দেয় না।

তিনি বলেন, তাদের কারিকুলাম করার জন্য আমি একটা কমিটি করে দিয়েছি। তারা দেওবন্দের কারিকুলাম অনুসরণ করেছে। দেওবন্দের কারিকুলাম ভারতে স্বীকৃত। আমরা সে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছি। সংসদে আইন করে দিয়েছি। সবার সম্মতিক্রমে সেই আইনটা আমরা পাসও করে দিয়েছি। এরপর এ নিয়ে আর কোনো কথা থাকতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কি আমরা ফেলে দেবো। তারা তো আমাদের দেশের সন্তান। আমরা তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের অনেকে মেধাবী। তাদের মেধাটা কেন আমরা দেশের কাজে লাগাবো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ছেলেগুলো পড়াশোনা শিখবে। ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তারা পার্থিব শিক্ষা নেবে, তাদের জীবনটা অর্থবহ হবে, জীবনটাকে মানসম্মত করতে পারবে। সেই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

বিরোধী দলের এক সংসদ সদস্যের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে কোনো চুক্তি নয়, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ রকম সমঝোতা স্মারক রাশিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনামসহ পৃথিবীর অনেক দেশের সঙ্গে আছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক করেছি অবকাঠামো নির্মাণ, কারিগরি সহায়তায়, দেশটির স্থল সীমানায় মাইন অপসারণের জন্য।

শেখ হাসিনা বলেন, অন্য কোনো দেশের যুদ্ধ হলে সেখানে আমাদের সেনাবাহিনী সেই যুদ্ধে অংশ নেবে না। পবিত্র মক্কা ও মদিনার নিরাপত্তার রক্ষার প্রয়োজন হয়, সেখানে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে। এখনে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। গত ১০ বছরে কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের বৈরিতা হয়নি, সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।