সোমবার (১১ মার্চ) মধ্যরাতে হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বেধড়ক মারধরে আহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সওতরপাড়ার কালিপুরের সাঞ্জব আলীর ছেলে ইসমাইল আলী (৩৫) ও একই এলাকার দশারত বিশ্বাসের ছেলে জ্যোতিন্দ্র বিশ্বাস (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনেরা বাংলানিউজকে জানান, গ্রামে মারামারির ঘটনায় আহতদের নিয়ে হাতপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে আসেন ইসমাইল আলী ও জ্যোতিন্দ্র বিশ্বাসসহ রোগীর কয়েকজন স্বজন। ভর্তিচলাকালীন হুলস্থুল শুরু হলে কর্মরত আনসার সদস্য রূপক ও মেহেদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের লাঠিপেটা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আনসারের পিসি (প্লাটুন কমাণ্ডার) নাছির উদ্দিন। তিনিও ইসমাইল ও জ্যোতিন্দ্রকে কান ধরিয়ে উঠবস করানোর পর হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে সাদা কাগজে সই রেখে ছেড়ে দেন।
এদিকে ঘটনাটি দেখে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনেরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আহতরা ইসমাইল আলী বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় তাদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতদের ভর্তিতে করাতে গেলে অন্য লোকজন হট্টগোল শুরু করে, তাদের উপর চড়াও হন আনসার সদস্যরা। এমনকি তাদের কান ধরিয়ে উঠবস করানো ও কাগজে সই রেখেছেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আনসারের পিসি নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর স্বজনেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে লাঠিপেটা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এনইউ/এএটি