মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা এ মতামত ব্যক্ত করেন।
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’- শীর্ষক এ সংলাপের যৌথভাবে আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম।
সংলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে আমাদের সামনে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা সেই সুযোগ না নিলে অন্যরা তা নেবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য প্রথাগত শিক্ষার বাইরেও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রযুক্তিখাত বিকাশে আমাদের সবাইকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এটা শুধু সরকারের একার বিষয় নয়। বেসরকারি খাতকে আমরা যুক্ত করতে চাই।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করতে হলে সিভিল সার্ভিসকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সিভিল সার্ভিস এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান।
ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সমীর শরণ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির বাইরে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন, তাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা দিতে হবে। যেমন অনেকেই উবার গাড়ি চালান, অনেকেই ফ্রিল্যান্স সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করেন। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সারদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তা দিতে হবে।
বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদির বলেন, প্রযুক্তিখাতে তাল মিলিয়ে চলতে হলে টেকনিক্যাল লোকের সরবরাহ সচল রাখতে পলিসি নিতে হবে। এক্ষেত্রে পলিসি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের দক্ষিণ এশিয়া প্রধান এস তানজিম ইসলাম, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো তেরি চ্যাপমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন, মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, পাঠাও’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ ফাহাদ, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বাংলাদেশ জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, প্যাসিফিক জিন্সের পরিচালক এস এম তানভীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
টিআর/জেডএস