পরিচয় পাওয়া মরদেহগুলো হচ্ছে- হাজি ইসমাইল, ফয়সাল সারোয়ার, রেনুমা তাবাসসুম দোলা, মোস্তফা ও জাফরের।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন।
তিনি বলেন, এখনো ২টি মরদেহ ও ৩টি পরিবারের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে রয়েছে। তবে দুই মরদেহের সঙ্গে এই ৩ পরিবারের কারও ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। মরদেহগুলো মর্গে থাকবে। কেউ মরদেহগুলোর দাবি করলে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ শনাক্তের কাজটি দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ ছিল। আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দু’টি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আলামত সংগ্রহ করি। এছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর অন্য রুটিন কাজ বাদ দিয়ে পরিচয় শনাক্তের কাজটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করেছি।
এর আগে গত ৬ মার্চ ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করে সিআইডি। তারা হচ্ছেন ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, মো. এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, মো. শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান ও নুরুল হক।
২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন চারজন মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
পিএম/এএ