মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে নিহতের শ্বশুর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
নিহতের চাচা মজনু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আট বছর আগে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাঁটিরপাড়ার এবাদুল্লাহর মেয়ে আসমা বেগমের বিয়ে হয় সরাইল উপজেলার শাহবাপুর গ্রামের হাবলী পাড়ার রহিস মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী কাজল মিয়ার। বিয়ের পর থেকে স্বামী প্রবাস থেকে স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠানোসহ ননদ ও শশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলে আসছিল। এসব বিষয় আসমা আমাদেরকে অবহিত করত।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে আসমার স্বামীর ছোট ভাই সুজন সৌদি আরব থেকে ফোন করে জানায় তাদের বাড়িতে ঝগড়া হচ্ছে। ফের কিছুক্ষণ পর ফোনে জানায় ভাবি (আসমা) কারেন্ট লেগে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে শাহবাজপুরে গিয়ে দেখি তাদের বাড়ির গেইট বাইরে থেকে বন্ধ। একটি কক্ষে আসমার চার বছরের ছেলে হামীমকে আটক রাখা হয়েছে। বাড়ির বিদ্যুৎও বন্ধ। পরে একটি কক্ষে গিয়ে দেখি আসমার মরদেহ একটি বিছানার উপর পরে রয়েছে। তার স্বামী, শশুর-শাশুড়ি, ননদসহ সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) চান্দু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি গিয়ে মরদেহ বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি।
সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের চোখ, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
জিপি