ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কারের পর মিলনায়তন জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দিলো রাসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
সংস্কারের পর মিলনায়তন জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দিলো রাসিক মেয়র লিটন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে মিলনায়তনটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী:  সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তন জেলা পরিষদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।

সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে নগর ভবনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তার দফতরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে মিলনায়তনটি বুঝিয়ে দেন।

এ সময় মেয়র বলেন, তিনি মনে করেন শহরের ভেতরের সব প্রতিষ্ঠানই সিটি করপোরেশনের।

এগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন এবং রক্ষণাবেক্ষণ তার দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে। এজন্য তিনি জেলা পরিষদের মিলনায়তনটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই কাজ শেষ করতে পেরে ভাল লাগছে।

নগরীর মনিবাজারে অবস্থিত এই মিলনায়তনটি ‘শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়ন’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।

এটি উল্লেখ করে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, এটির দেখভাল এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শহীদপুত্র ও মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনেরই।

রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক মিলনায়তন সংস্কার প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রথমবার দায়িত্বে থাকাকালে মিলনায়তনটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

এজন্য তিনি ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিগত ২০১১ সালের ৮ মে মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশনকে ১২৯টি প্রকল্পে ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে তিন কোটি ২৩ লাখ টাকা ছিল মিলনায়তনের সংস্কার।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনটি রাসিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ করে সংস্কার শুরু করে রাসিক। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এবং সাউন্ড সিস্টেমের জন্য এক কোটি টাকার অভাব দেখা দেয়। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনে আরেকজন মেয়র হিসেবে এলে মিলনায়তনটির সংস্কার কাজ থেমে যায়।

এরপর দীর্ঘদিন আর কাজ হয়নি। মেয়র লিটন দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর আবার কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেন। এরপরই মিলনায়তনটির সংস্কার কাজ শেষ হলো।

প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, তিন কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দের বাইরে ৬০০ চেয়ার বসাতে সিটি করপোরেশন আরও ৫৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা খরচ করেছে। এই মুহূর্তে আর ২৫-৩০ লাখ টাকার কাজ করলে এটিই হবে রাজশাহীর সবচেয়ে আধুনিক মিলনায়তন। তবে গত ১ মার্চ থেকে মিলনায়তনটিতে আবার নানা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এটি ভাড়া দিয়ে জেলা পরিষদের আয় বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।