মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে হত্যা পরিকল্পনার মূলহোতা ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ তথ্য জানান নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন খান।
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) জেলা সদরের রৌহা ইউনিয়নের কারলি বালিজুরী এলাকার সড়কের পাশ থেকে স্বপনের অর্ধ মাটিচাপা মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রৌহা ইউনিয়নের মড়লবাড়ি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ও ব্যবসায়ী স্বপনের কাছে ঋণগ্রস্ত হোটেল ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম রুবেল, তার সহযোগী একই এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (৫০) এবং ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে গার্মেন্টস কর্মচারী জাহিদ মিয়া (৩০)।
আসামিদের বরাত দিয়ে ওসি বোরহান উদ্দিন খান জানান, হোটেল ম্যানেজারের রুবেলের কাছে ব্যবসায়ী স্বপন তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। সম্প্রতি টাকা ফেরত পেতে রুবেলকে চাপ সৃষ্টি করেন স্বপন। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে পাওনা টাকা থেকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা বলে স্বপনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান রুবেল। প্রথমে তাকে নিয়ে হিরণপুর বাজারে বসেন। সেখানে পরিকল্পিতভাবে ওই ব্যবসায়ীকে জালাল ও জাহিদের সহযোগিতায় জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ পান করান রুবেল।
স্বপন অচেতন হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বিভিন্ন স্থান ঘুরে কারলি বালিজুরী এলাকায় যান। ততক্ষণে অন্ধকার নেমে আসলে আসামিরা অচেতন স্বপনকে অটোরিকশার পর্দা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তারা স্বপনকে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে মরদেহটি গুম করতে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। শরীরের অর্ধেক অংশ মাটিচাপা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামিরা।
নেত্রকোণা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পরদিন নিহতের স্ত্রী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় রুবেলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
জিপি