মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের নলকা এলাকায় একই স্থানে প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বললেন স্কুল শিক্ষক ইমাজ উদ্দিন।
ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারে চেপে দিনাজপুর যাচ্ছেন তিনি।
বাসযাত্রী সোহেল রানা, বাবলু, আজিম, রুমন, বাপ্পিসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘ যানজট ৭-৮ কিলোমিটার আসতে তাদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। গোলচত্বর পেরোতে যে কত সময় লাগবে তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। যাত্রীরা জানান, কখনো কখনো কচ্ছপ গতিতে ৫ মিনিট করে চলার পর আধঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কথা হয় রিশান পরিবহনের চালক রজব আলী, সীমান্ত এক্সপ্রেসের চালক সুজন, ট্রাক চালক আল-আমিনের সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকাতে যানজট থাকলেও এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগছে।
অসময়ে রাস্তার কাজ শুরু করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অভিযুক্ত করে চালকরা বলেন, এমনিতে এ মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। তার ওপর সময় না বুঝে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে দিনভর মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আরাফাত রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই এ রুটে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। এতে শুধু যানবাহন ও তার যাত্রী নয়, এলাকাবাসীও পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ের সার্জেন্ট আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচলিয়া এলাকায় মহাসড়কে রাস্তার সংস্কার কাজের কারণে একটি লেন বন্ধ রয়েছে। এ কারণেই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিকেলে সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে। অল্প সময়ের মধ্যে এ মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, এ রুটে সব সময়ই যানবাহনের চাপ থাকে। তারপরও রাস্তার সংস্কার কাজ করতে হবে। কাজের কারণে একটি লেন বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নিজেও যানজটের কবলে পড়ে দু’ঘণ্টা আটকে ছিলাম। রাস্তার কাজের জন্য আগামী ৮ থেকে ১০ দিন মানুষকে কিছুটা কষ্ট করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
জিপি