পরে খুনের বিষয়টি ধামা-চাপা দিতে নাজিমউদ্দিনকে ২ লাখ টাকার প্রলোভন দেখান খুনের দায়ে অভিযুক্ত আত্মীয় আল আমিন (৩৮) ও শামীম (৩৫)। আর সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছেলের অপমৃত্যুর ঘটনা সাজান বাবা নিজেই।
এ বিষয়ে তদন্তের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিনগত রাতে আল-আমিন ও শামীমকে আটক করে র্যাব-৩। এতে অপমৃত্যুর কথা বলে চালিয়ে দেওয়া চাঞ্চল্যকর এ খুনের রহস্য উন্মোচন হয়।
বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) এমরানুল হাসান।
তিনি বলেন, ভিকটিম রুবেল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে রুবেলের বাবা নাজিমউদ্দিন দাবি করেন। ঘটনার দিনই তিনি বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানে ভিকটিম রুবেলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার পর র্যাব নাজিমউদ্দিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। রুবেলের বাবা নাজিমুদ্দিন ভয় পেয়ে সত্য ঘটনা খুলে বলেন।
তিনি আরো বলেন, তাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় শামীম ও আল-আমিনের নির্মাণাধীন ঘরে চুরি করতে যায় রুবেল। এসময় টের পেয়ে শামীম ও আল-আমিন রুবেলের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন। তখনই মারা যায় রুবেল।
ভিকটিম রুবেল মারা যাওয়ার পর, ভয় পেয়ে রুবেলের বাবা নাজিমউদ্দিনকে ডেকে পাঠান শামীম ও আল-আমিন। পরে ২ লাখ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার নাটক সাজায় তারা। টাকার বিনিময়ে পুত্র হত্যার তথ্য গোপন করতেও রাজি হয় নাজিমউদ্দিন।
নাজিমউদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আল-আমিন ও শামীমকে আটক করা হয়। পরে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রুবেল মাদকসেবী। নেশার টাকা যোগাড় করার জন্য সে বিভিন্ন সময় চুরি করতো। এর আগে চুরির ঘটনায় গ্রামে তার বিচার-সালিশ হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে রুবেল চুরি করার উদ্দেশ্যেই আত্মীয়ের বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। আর তখনই বিষয়টি টের পেয়ে লোহার রড দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করে শামীম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
পিএম/জেডএস