হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রধানের আদালতে বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মামলায় ইউএনও’র অফিস সহকারী হরিপদ দাসসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই/তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ৬ মার্চ দুই লাখ টাকার বিলের একটি চেকে সই করার জন্য ইউএনও তার অফিস সহকারী হরিপদ দাশকে দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মো. মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে পাঠান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন না করায় তিনি চেকে সই দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় অফিস সহকারী হরিপদ তাকে বলেন, ইউএনও নির্দেশ দিয়েছেন চেকটি সই করার জন্য। কিন্তু তাতেও প্রকৌশলী রাজি হননি। পরে অফিস সহকারী চেক সই না দেওয়ার কথা ইউএনও জসিম উদ্দিনকে জানান। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আরও কয়েকজনকে নিয়ে প্রকৌশলীর কক্ষে গিয়ে নিজেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে তাকে গ্রেফতারের আদেশ দেন। পরে তাকে ইউএনও’র কক্ষে নিয়ে আটক রাখা হয়।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপরে মুচলেকা দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মো. মহিউদ্দিন ছাড়া পান। এ ঘটনায় প্রকৌশলী নিজের ও তার বিভাগের কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, প্রকৌশলীকে আটক করার বিষয়টি বিভিন্ন স্থানে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীরা। তারা ইউএনও’র বিচার দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন করেন এবং এ ঘটনার বিচার ও তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু বলেন, একজন সরকারী কর্মকর্তা আরেকজন সরকারী কর্মকর্তার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন না। এটি যেমন আইনবিরোধী, তেমনি সরকারি চাকরি নীতিমালাবিরোধী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, প্রকৌশলী যা করছেন তা মিথ্যাচার। তিনি কর্মচারীকে মারধর করেছিলেন। তিনি একজন মাদকসেবী, বেপরোয়া চলাফেরা করেন। আমি বিষয়টি নিয়ে বিচলিত নই। আইনি বিষয় আইনগতভাবেই মোকাবেলা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এসআই