শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে বাংলানিউজকে একথা বলেন তোহান।
তোহান বাংলানিউজকে জানান, নাগরিকত্ব নিয়ে স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করতেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক তার বাবা ড. আবদুস সামাদ।
পারিবারিক সূত্র আরো জানায়, আব্দুস সামাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানই কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে পিএইচডি করেন নিউজিল্যান্ড থেকে। পরবর্তীতে তিনি ওই বিভাগর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে নাগরিকত্ব নিয়ে স্ত্রী ও তিন পুত্রসহ স্থায়ীভাবে ক্রাইস্টচার্চ শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখান কিছুদিন বসবাস করার পর তার বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ দেশে ফিরে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। অপর দুই ভাই তারেক, তানভির ও মা কশায়ারা সুলতানাকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডেই থাকতেন ড. আবদুস সামাদ।
এদিকে ড. আবদুস সামাদ নিহত হওয়ার খবর নাগেশ্বরী পৌরসভার মধুরহাইল্যা গ্রামে তার নিজবাড়িতে পৌঁছালে শোকে ভেঙে পড়েন তার স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা।
হামলার ঘটনায় শেষ খবর পর্যন্ত ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৪৯ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রধান হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ান বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এফইএস/এএ