শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঈদসহ যেকোন ছুটিতেই ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লেগে থাকতো বিশাল যানজট।
এর মধ্যে রোজার ঈদের আগেই মেঘনা সেতু চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। যদি এটি হয় তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট একেবারেই থাকবে না বলে জানিয়েছেন অনেকে।
সেতুর যানবাহন চালু হওয়ার পর এই পথে চলাচলরত শ্যামলী পরিবহনের চালক আজগর বলেন, ‘সেতু তো অনেক বড় কইরা বানাইসে। এখন আর জ্যাম থাকবো না মনে লয়। গাড়ি চালাইয়া মজা পামু। ’
ঢাকা ফেরার পথে কাঁচপুরের জ্যাম নিয়ে চাকরিজীবী শামসুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) থেকে যে যানজট ছিল, ৫ ঘণ্টায় এই সড়ক পার হয়েছিলাম। আজ ফিরছি তেমন যানজটই নেই। সেতু চালু হওয়াতে যানজট থাকবে না বলেই আশা করছি।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্যা তাসনিম হোসেন জানান, গত দু’দিনও অনেক জ্যাম ছিল। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে যানজট অনেকাংশেই কমে আসবে। সেতুতে যানবাহন চলাচল করছে।
বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে নির্মিত ৩৯৭ দশমিক ৩ মিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনবিশিষ্ট দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা। আগের কাঁচপুর সেতুর সমান উচ্চতায় এই সেতু নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বাংলাদেশে এই প্রথম এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
আগের কাঁচপুর সেতু পুনর্বাসনের ফলে এর আয়ুষ্কাল নির্ধারিত ৫০ বছর মেয়াদের সঙ্গে আরও ৪০ বছর বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
আরআর