শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মোস্তাকিন নগরের বাজে কাজলা এলাকার মোস্তফা আলীর ছেলে।
নিহত মোস্তাকিনের ভাই নান্টু জানান, বাড়ি থেকে প্রায় দুইশ’ গজ দূরে জাহিদুলের গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে ভাড়া চালাতেন মোস্তাকিন। অটোরিকশা ভাড়ার টাকা বাকি পড়ায় বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে গ্যারেজে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। ওই রাতে বাড়ি থেকে গ্যারেজে টাকা দিতে হবে বলে স্ত্রীর কাজ থেকে দেড়শ’ টাকা নিয়ে বের হন মোস্তাকিন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে একটি গলিতে তার মরদেহ পরে থাকতে প্রতিবেশীরা। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ রাত থেকে মোস্তাকিন নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মোস্তাকিন মাদকাসক্ত ছিলেন। তবে তার মাথাসহ শরীরের কয়েকটি অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অন্য কিছু পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি শাহাদত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/