রোববার (১৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে রাজনকে তার পরিবারের লোকজন স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাজন বিএসএমএমইউ-র ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। নিহতের পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের একটি টিম স্কয়ার হাসপাতালে আছে।
শেরে বাংলা নগর থানা (ওসি-তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে জানান, রাজনকে হাসপাতাল চিকিৎসক ভোর ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। কাগজপত্র আমরা দেখেছি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ময়না তদন্তের জন্য রাজনের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্ন জবাবে তিনি জানান, রাজনের পরিবার অস্বাভাবিক মৃত্যু অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছেন। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
নিহতের এক নিকটাত্মীয় বলেন, রাজনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ডায়াবেটিস নেই এমন একজন লোকের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা ময়নাতদন্ত চাই।
রাজনের এক সহকর্মী বলেন, গত রাত ১২টা পর্যন্ত একটি হাসপাতালে রোগীর অস্ত্রোপচার করে ইন্দিরা রোডের বাসায় যান রাজন। রাজনের এই করুণ মৃত্যু তার পরিবার মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা ময়নাতদন্ত করাতে চাচ্ছে।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, সকালে চিকিৎসক রাজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তিনি ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক। তবে রাজনের কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে পারিনি।
জানা যায়, রাজন কর্মকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের এখলাসপুর। তার বাবার নাম সুনীল কর্মকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/এএ