বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে পাটগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া গণধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
এরআগে, সকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় যশোদা পরিবহনের বাস কাউন্টার থেকে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতার রেজাউল ইসলাম বুড়িমারী ইউনিয়নের মুঙ্গলীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে শেরপুর থেকে পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে তিনদিন আগে আসেন ওই নারী। এরপর তাকে কাগজপত্র তৈরী করে দেওয়ার নাম করে সেখানকার যশোদা বাস কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে সেখানে ওই নারীকে টানা দুইদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বুড়িমারী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, স্থানীয় নুরুন্নবী (২৯) ও আনছারুল ইসলাম ওরফে ভোম্বল (৩১)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশ যশোদা বাস কাউন্টারের কক্ষ থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেজাউলকে আটক করে পুলিশ। পরে বিকেলে ওই নারীর করা গণধর্ষণ মামলায় আটক রেজাউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর আলী বাংলানিউজকে বলেন, আটক রেজাউলসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় রেজাউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এনটি