শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে এসব সম্প্রদায় স্ব-স্ব এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসাতে থাকে।
এদিকে, রাঙামাটি শহরের গর্জনতলী এলাকায় ত্রিপুরা সম্প্রদায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে তাদের বৈসুক উৎসবের সূচনা করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। এছাড়াও রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীন, জেলা পরিষদের সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরাসহ ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর পর ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা সম্প্রদায়ের বয়োবৃদ্ধদের স্নান করিয়ে তাদের পরিধানের জন্য নতুন কাপড় উপহার দেয়।
এরপরই বৈসুক উৎযাপন কমিটির উদ্যোগে হ্রদের পাড়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যর পাজন এবং বাহারি রকমের পিঠা-পুলি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
তবে এ বছর রাঙামাটিতে বিজুর কোনো উৎসব মুখর ছিলো না। কারণ চলতি বছরে পাহাড়ে হত্যাকাণ্ড, গুম, খুনের কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক ছিল। সাদামাটা পরিবেশে বিজু উৎসব পালন করছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এনটি