শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শাহবাগে গৌরব একাত্তরের আহ্বানে ‘যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা’ শীর্ষক এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
চেতনা বাংলাদেশ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পূর্ণিমা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এতে অংশ নেন।
এর আগে গৌরব একাত্তরের সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম বলেন, ‘নুসরাতের মতো নির্যাতনের ঘটনায় আমরা আর রাস্তায় দাঁড়াতে চাই না। প্রতিবাদ হয়, সেটাও শেষ হয়। কিন্তু ধর্ষকদের বিচার হয় না। আর তাই ধর্ষণের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ’
সাংবাদিক নেতা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা একের পর এক এমন অপকর্ম করে আসছেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের ভূমিকা বিশেষ করে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ভূমিকা প্রমাণ করে যে, স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাকে প্রশ্রয় দিয়েছিল। আমরা বিচার চাই এ সংঘবদ্ধ চক্রের। আর যারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তারা শুধু ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করছে না বরং তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ’
ঢাবির উপ-উপাচার্য ড. আবদুস সামাদ বলেন, ‘একাত্তরের জামায়াত নেতাদের সহযোগী অধ্যাপক সিরাজ উদদৌলার মতো ব্যক্তিরা আজও আমাদের সমাজে উপস্থিত। এমন ঘটনা দেখে আমরা শিউরে উঠি। এমনটা মোটেও কাম্য নয়। এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিচারের পাশাপশি যারা এদের আশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। কারণ তারা সমান অপরাধে অপরাধী। ’
এছাড়া নুসরাত হত্যার বিচার চেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন পূর্ণিমা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পূর্ণিমা রানী শীল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, গণজাগরণ মঞ্চের নেতা বাপ্পাদিত্য বসু, রকেয়া হল সংসদের এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/