শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), নিরাপদ বাংলাদেশ চাই, নিরাপদ নোয়াখালী চাই, সার্ক মানবাধিকার বাংলাদেশ, মুসলিম সাপোর্ট বাংলাদেশ, আলোকিত গোপালঞ্জ, যুব ঐক্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের কওমী ছাত্র পরিষদ, ইসলামী ছাত্র সেনাসহ কয়েকটি সংগঠন নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নুসারাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন অফিস আদালতে যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। তিন সন্তানের জননী এমনকি শিশুদেরও যৌন নির্যাতন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, যৌন নির্যাতনের জন্য কঠিন আইন করা হোক। যেন নারীদের নির্যাতন করতে ভয় পায়।
বক্তারা বলেন, নুসরাত আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। সে অন্যায়ের কাছে মাথা নতো করেনি। মৃত্যুর আগেও সে দোষীদের শাস্তি চেয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে, যেন আর কোনো নারী নির্যাতনকারী রেহাই না পায়।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে স্বজনদের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
আরকেআর/আরবি