সকাল থেকেই পুণ্যার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মাধবপাশার দুর্গাসাগর পাড়ের এলাকা।
চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এই দুর্গাসাগরে স্নান করে পাপ থেকে মুক্তি লাভের আশায় প্রতি বছরই বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আসেন।
এবারের তিথি দু’দিন হওয়ায় ভক্তরা শান্তিপূর্ণভাবে স্নান করতে পারছেন। শুক্রবার সকাল ১১টা ০২ মিনিট থেকে পর দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত তিথি রয়েছে। ফলে আজ থেকে শুরু হওয়া স্নানোৎসব রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে শেষ হবে।
পুণ্যার্থীরা জানান, গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা করছেন তারা। যাতে পাপমুক্তির মধ্য দিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারেন এবং সকল দুঃখ-কষ্ট থেকে যেনো মুক্তি পান।
উৎসবে বাড়তি আনন্দ যোগাতে সাগর পাড়ের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে গ্রামীণ মেলার। যেখানে মুড়ি-মুড়কি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, উৎসবকে ঘিরে এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রায় দুই শতাব্দী ধরে পুণ্যার্থীরা দুর্গাসাগরে স্নানোৎসবে যোগ দিয়ে আসছেন। ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপ পরগণার তৎকালীন রাজা শিব নারায়ণ এলাকাবাসীর পানির সংকট নিরসনে স্ত্রী দুর্গারানির নামানুসারে দুর্গাসাগর দীঘি খনন করেন। যা পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হয়।
৪৫ দশমিক ৫৫ একর জমির মধ্যে দ্বীপসহ জলভাগের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৮ একর এবং স্থলভাগের পরিমাণ ১৮ দশমিক ০৪ একর। দীঘির চারপাশ ও মাঝের দ্বীপটিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষ রয়েছে। এছাড়া দীঘির চারপাশ দিয়ে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে রয়েছে। তিন ঘাট ও মধ্যখানে দ্বীপবিশিষ্ট এ দীঘি সর্বশেষ ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সংস্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এমএস/টিএ