সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জালালের স্ত্রী জেসমিন সুলতানা হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই জিডি করেন। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী।
জালাল উদ্দিন চুনারুঘাট উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। হবিগঞ্জ শহরের ইনাবাদ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত রোববার (১৪ জুলাই) গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণপুর থেকে হবিগঞ্জ শহরের বাসায় ফেরেন জালাল। তখন তার স্ত্রী জেসমিন সুলতানা পিত্রালয়ে ছিলেন। রাত ৮টায় বাসায় নিজের ব্যবহৃত সেলফোনটি রেখে বেরিয়ে যান জালাল। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় ফেরেননি। রাতে স্থানীয়রা তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে দেখেছেন। ছেলের কাছ থেকে খবর পেয়ে জেসমিন সুলতানা বাসায় ফিরে থানায় জিডি করেন।
এদিকে জালাল উদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১৮ বছর তিনি ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালতে বদলি হয়ে আসেন তিনি।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের বাড়িতে জায়গা-জমি নিয়ে ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল জালাল উদ্দিনের। গত রোববার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য তিনি বাড়িতে যান। কিন্তু বিষয়টির সুষ্ঠু নিষ্পত্তি না হওয়ায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এইচএ/