সোমবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পদ্মার পাঁচ নম্বর আই-বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থল থেকে ৭৯ বোতল ফেনসিডিল, দেশীয় একটি শ্যুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই মাদক বিক্রেতার নাম মো. আমিন (৩৫)। তার বাড়ি মহানগরের উপকণ্ঠ হাড়ুপুর এলাকায়। আমিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আছে। এর মধ্যে পাঁচটিই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের। ঘটনার পর এ তথ্য জানিয়েছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ বাংলানিউজকে জানান, রাতে পুলিশের একটি দল পদ্মা নদীর পাঁচ নম্বর আই-বাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। এ সময় মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়ের পর পুলিশ নদীর কিনারায় পানির মধ্যে আমিনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কিন্তু জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ওসি জানান, উদ্ধারের সময় আমিনের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে গুলিবিনিময়ের সময় পদ্মার পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় কাশিয়াডাঙ্গা থানার তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল মতিন আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর নিহত আমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসএস/এইচএ