বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় দুই শতাধিক জলাশয় তলিয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৭৩ দশমিক ৯৭ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, যমুনা পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়া অব্যাহত হয়েছে। আপাতত কমার কোনো লক্ষণ নেই।
তবে যমুনা নদীর ডান পাশ দিয়ে নির্মিত সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ এখনও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু পানির চাপ ক্রমেই বাড়ছে। তাই পাউবোর পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যোগ করেন পাউবোর এই কর্মকর্তা।
এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণের কারণে সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব উপজেলায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম জানান, ত্রাণ অধিদফতর থেকে সোমবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৪২ মেট্রিকটন চাল ও এক হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বানভাসিদের এসব সামগ্রী বিতরণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এছাড়া আরও ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় ৩২টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমবিএইচ/এএ