প্রথম কয়েক বছর কথা অনুযায়ী লভ্যাংশ দিলেও শেষে প্রায় ৩শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পলাতক হন শামীম কবির। একে একে দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ২৮টি মামলা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে অনুমোদন নিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কার্যক্রম শুরু করে ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি.। পরে সমিতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে অনুমোদন নিয়ে ২৫টি অফিস খুলে কার্যক্রম শুরু করে।
শামীম কবির ইসলাম ধর্ম পুঁজি করে ধর্মভীরু ও স্বল্পশিক্ষিত লোকজনদের আল্লাহর মহান বাণী শুনিয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন। কোরআন শরিফসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে সুসজ্জিত অফিসে দাওয়াত দিয়ে প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করতেন তিনি।
বিনিয়োগ করা একলাখ টাকায় প্রতি মাসে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা হারে মুনাফা দেওয়ার কথা প্রচার করতেন শামীম। শুরুতে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কথা অনুযায়ী লভ্যাংশও দিয়ে আসছিলেন। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটিতে।
২০১৪ সালে একপর্যায়ে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকদের তিনশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে যান শামীম। আত্মসাতের অর্থ দিয়ে তিনি কুমিল্লা ও সিলেটে প্রাসাদসম বাড়ি এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজের নামে প্রায় ৪০ একর জমি কেনেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথমে কথিত ছিল টাকা আত্মসাত করে শামীম বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটির তদন্তভার পায় সিআইডি। দীর্ঘ প্রায় চার বছর পলাতক থাকার পর এক পর্যায়ে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে শামীম কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
পিএম/এএ