বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের তদন্ত ও বিচারের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর বলেন, আইসিসি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের আইনগতভাবে বিচার করে থাকে। এই বিচার প্রক্রিয়ায় আইসিসির কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেই। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকেই আমরা কাজ করে থাকি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়। তবে বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য। মিয়ানমার সদস্য না হলেও এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিসি কোনো চুক্তি করবে কি-না- এমন প্রশ্নের উত্তরে জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিচারের জন্য বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই আইসিসি এমন চুক্তি করে থাকে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইসিস অনুমতি দিলে আগামী অক্টোবরের মধ্যে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্ত শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গত ১৬ জুলাই জেমস স্টুয়ার্টসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে।
আইসিসির এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শুক্রবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।
আইসিসি প্রতিনিধি দল এর আগে চলতি বছরের মার্চে ঢাকায় এসেছিল। সে সময়ও প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকা পরিদর্শন করে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় এসেছে দলটি। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত ও বিচারের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের আইসিসি কাজ করে চলেছে। যদিও মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়। তবে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সদস্য না হলেও রোহিঙ্গা নির্যতনের ঘটনা বিচারে কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
টিআর/টিএ