শুক্রবার (০৯ আগস্ট) দিনগত রাত ১টার দিকেও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনের চাপ দেখা যায়। সরকারিভাবে ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে জরুরি পচনশীল পণ্যবোঝাই ট্রাক ছাড়া অন্য সব ধরনের ট্রাক পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপার হতে দেখা যায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়।
সোহার্দ্য পরিবহনের চালক শামিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ৩টার সময় গাবতলি থেকে গাড়ী নিয়ে রওনা হয়ে রাত ১০টার সময় পাটুরিয়া ঘাট এলাকাতে এসে পৌঁছেছি। রাস্তায় জ্যামের কারনে গাড়ি টানতে পারি নাই। ঘাটে এসে সিরিয়ালে বসে আছি, এখন দেখি ফেরিঘাটের লোকজন পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপারে ব্যস্ত।
এদিকে রাজবাড়ীগামী যাত্রী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় যানজটের কারণে পাটুরিয়া সংযোগ সড়কে আমাদের নামিয়ে দিয়েছে বাসের স্টাফরা। প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে এখন পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এবারের ঈদে মহাসড়কের ব্যবস্থাপনা একদম বাজে।
পাঁচ নাম্বার ফেরিঘাটের যশোরগামী প্রাইভেটকার চালক সায়েম বাংলানিউজকে বলেন, আমি পাটুরিয়া ছোট গাড়ির লেইনে সন্ধ্যা থেকে ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় আছি। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর ফেরিতে উঠার টিকিট পেছেছি। তবে কখন ফেরিকে উঠতে পারবো, তা বলতে পারছিনা। কারণ আমার সামনে এখনো অনেক গাড়ী রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাটের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যাবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, রাত যত গভীর হচ্ছে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। যাত্রীবাহী পরিবহন দুই শতাধিক,ছোট গাড়ী (প্রাইভেট কার) চার শতাধিক এবং পশুবাহী ট্রাক রয়েছে তিন শতাধিক পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় আছে। সন্ধ্যার দিকে যানবাহনের চাপ কম থামলেও রাত যত গভীর হচ্ছে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে ঘাট এলাকাতে। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করার কাজে নিয়োজিত আছে। সরকারি ভাবে পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপার ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে তবুও কেন এই ট্রাকগুলো পারাপারের জন্য জিরো পয়েন্টে অপেক্ষমান এম প্রশ্নের উত্তরে কোনো তথ্য দিতে পারেননি বিআইডব্লিউটিসির এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমএমইউ