ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।
সায়েদাবাদ টার্মিনালে অবস্থান করে দেখা গেছে, ঢাকা-হাজীগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ বাসে আগে ভাড়া ছিল ২২০ টাকা। এখন ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা করে।
ঢাকা-হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ রুটের আল আরাফাহ পরিবহনেও নেওয়া হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া। সায়েদাবাদ থেকে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত এ পরিবহনে আগে ভাড়া ছিল ২২০ টাকা। এখন আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
ভুক্তভোগী যাত্রী ফারহান শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অসহায়। সবগুলো বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে পরিবহনের ওরা বলে-গেলে যাবেন, না গেলে নাই।
‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কোনো ভাবে সহ্য করা হবে না। অথচ এখানে এরা আগের ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আদায় করছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। কাউকে ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি। ’
শুধু ফারহানই নয়, এমন অভিযোগ এইরুটের আরও অনেক যাত্রীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আল আরাফাহ পরিবহনের একজন সুপারভাইজার বলেন, মালিক কর্তৃপক্ষ যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবে ভাড়া নিচ্ছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমইউএম/এমএ