শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনের ভেতরে ও ছাদে পা ফেলার জায়গা ছিল না।
যদিও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ রেল আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
ঈদুল আজহার আর মাত্র দু’দিন বাকি থাকায় পুরোদমে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। এর ফলে সকালে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলগামী কোনো ট্রেনেই তিল ধারণের ঠাই ছিল না।
রেলের তথ্য মতে, ঈদে স্পেশাল তিন ট্রেনসহ আন্তঃনগর ও মেইলে প্রতিদিন কমলাপুর থেকে ৫৫টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এসব ট্রেনে আসন সংখ্যা সাড়ে ৫৯ হাজারের বেশি। তবে আসন সংখ্যার চেয়ে ট্রেনে দুই থেকে তিনগুণ মানুষ যাতায়াত করছে। ফলে ট্রেনের গতি কমেছে। বেড়েছে শিডিউল বিপর্যয়।
সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ৮-১০টির মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে। আইনের তোয়াক্কা না করেই সব ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করেছে ঘরমুখো মানুষ।
দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেসের যাত্রী সামিয়া। ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে পারেননি। তাই ট্রেনের ভেতর জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করছেন। ঝুঁকি নিয়ে কেন যাত্রা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এ নারীর সোজাসাপ্টা জবাব, তাহলে কেমনে বাড়ি যাবো! আমাদের তো আর অনেক টাকা নেই যে, গাড়ি রিজার্ভ করে বাড়ি যাবো।
তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রী সায়েখুল হক। ঝুঁকি নিয়ে কেন যাত্রা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি ট্রেনে যেতে না পারি, তাহলে ঈদে আর বাড়ি যাওয়া হবে না। মহাসড়কে যে দীর্ঘ যানজট, সড়কেই জীবন শেষ হয়ে যাবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের যে স্রোত, চাইলেও ছাদে ভ্রমণ বন্ধ করা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
টিএম/আরআইএস/