ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার পথে পথে চলছে গো খাদ্য বেচাকেনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
ঢাকার পথে পথে চলছে গো খাদ্য বেচাকেনা ঢাকায় হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে গো খাদ্য। ছবি: জিএম মুজিবুর।

ঢাকা: কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। এরমধ্যে রাজধানীর পথে পথে চলছে জমজমাট গো খাদ্যের ব্যবসা। পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে বিক্রি হচ্ছে গো খাদ্য। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিবর্তন করে মৌসুমী এ ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। ৩ দিনের ব্যবসায় কিছু মুনাফা ও নগরবাসীকে সেবা দেওয়া তাদের মূল লক্ষ্য।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, তেজগাঁও ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

মৌসুমী কয়েকজন ব্যবসায়ীর জানান, নগরবাসীকে সেবা দিতে ও সামান্য কিছু মুনাফার আশায় ঈদে বাড়িতে না গিয়ে তারা এ ব্যবসা করছেন।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার গো খাদ্য বিক্রেতা মো. বাবু বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছর আমি ফলের ব্যবসা করি। আর কোরবানির ঈদের চার পাঁচ দিন আগে থেকে গো খাদ্য বিক্রি করি। এটাতে আমার মোটামুটি ভালোই লাভ থাকে। এছাড়া কোরবানি ঈদের আগের দুই তিন দিন ফলের বেচাকেনা থাকে না। তাই কিছু অতিরিক্ত লাভের আশায় আজ কয়েক বছর ধরে এ ব্যবসা করছি।

‘এলাকাবাসী প্রায় সবাই জানেন কোরবানির তিন চারদিন আগ থেকে এখানে গো খাদ্য বিক্রি হয়। তাই এলাকাবাসীকে সেবা দিতে এ আয়োজন সব সময় থাকে। তবে গতবারের চেয়ে গো খাদ্যের দাম কিছুটি বেড়েছে। ’

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গো খাদ্য একেক স্থানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে যে যেভাবে পারছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নিচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। বরং হাতের নাগালে গো খাদ্য পেয়ে তারা খুশি। গো খাদ্য বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।  ছবি: জিএম মুজিবুরদেখা যায়, গো খাদ্য ছোলার ভুসি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঘাসের আটি ১০ থেকে ২০ টাকা, তুষের ভুসি কেজি ৬০ টাকা, খইল কেজি ৬০ টাকা ও খেসারি ভুসি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে অলিতে গলিতে গো খাদ্য বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মৌসুমী পাইকারি গো খাদ্য ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, অলিতে-গলিতে খুচরা ব্যবসায়ী বেড়ে যাওয়া আমাদের বিক্রি নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে তালতলা বাসস্ট্যান্ডে পাইকারি গো খাদ্য বিক্রেতা মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে ব্যবসা অনেক কমে গেছে। গত বছর ঈদের তিন দিন আগেই মালামাল শেষ হয়ে গিয়েছিল আর এ বছর পুরো মালই রয়ে গেছে। বিক্রি নেই।

‘তিন বছর ধরে এখানে হাট হয় না। আগে এখানে হাট বসতো। খাদ্য বিক্রি করে কুলাতে পারতাম না। তারপরও অনেকদিন ধরে এ ব্যবসায় জড়িত আছি। এলাকাবাসী আমার কাছ থেকেই সব সময় গো খাদ্য নেন। তাই এলাকাবাসীকে সেবা দিতেই প্রতিবছরই এই সময়টায় আমি গো খাদ্য বিক্রি করি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।