শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে দেখা যায় দাঁড়ানোর মতো জায়গাও নেই।
ক্রেতারা জানান, হাট শুরুর দিকে গরু-ছাগলের দাম চড়া ছিল।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার ভারতীয় গরু আসেনি। তাই শুরুর দিকে দেশি গরুর দাম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছিল। এখন ক্রেতারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন দাম কমাতে। তবে দাম যাই হোক গতবছরের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি ও বিক্রি বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, জোড়াগেট হাটে সবচেয়ে বড় গরু এনেছেন দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের নূর ইসলাম চৌধুরী। সাদা রঙের বিশাল আকারের গরুর দাম হেঁকেছেন ১১ লাখ টাকা। নূর ইসলামের দাবি, গরুটির ওজন ২৮ মণ। এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। এটিই এখন পর্যন্ত হাটের সবচেয়ে বড় গরু।
এছাড়া রূপসা উপজেলা থেকে অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি ছাগল নিয়ে এসেছেন শাহজাহান মিয়া। তিনি ছাগলের দাম চেয়েছেন ৭০ হাজার টাকা। এটিই হাটের সবচেয়ে বড় ছাগল।
হাটের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাটে ২ হাজার ২১০টি গরু ও ছাগল বিক্রি হয়েছে। এতে কেসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। গতবছর এই সময়ে অর্থ্যাৎ ঈদের দুই দিন আগে বিকেল ৫টায় ২ হাজার ১৫২টি গরু ও ছাগল বিক্রি হয়েছিলো। রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসা সুলতান খান জানান, সারাবছর লালন-পালন করে গরুর যে দাম পাওয়া উচিত-তারা সেই দাম পাচ্ছেন না। বড় ও মাঝারি আকারের গরুর দাম অনেক বেশি। কিন্তু ক্রেতা কম থাকায় তারা কম লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
দিঘলিয়া উপজেলার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, হাটে তারা ৮টি গরু এনেছেন। এর মধ্যে ৩টি বিক্রি হয়েছে লাভে, একটি লোকসানে। হঠাৎ করে গরুর দাম পড়ে যাচ্ছে। এজন্য বাকি ৪টি বিক্রি করা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কেসিসির হাট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, শেষ সময় হাটে প্রচুর গরু আসছে। এজন্য দাম কিছুটা সহনীয় হয়ে গেছে। গতবছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে। শেষদিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস