শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
কুষ্টিয়ার মিরপুরের রাখাল মো. হাফিজুল বাংলানিউজকে বলেন, আমি আর আমার খালাতো ভাই গত বুধবার (৭ আগস্ট) ১৩টি গরু নিয়ে এসেছি হাটে।
তিনি বলেন, হাটে প্রচুর ক্রেতা আছে। কিন্তু, তারা বিক্রি করার মতো দাম বলছে না। ছোট গরু নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, বড় গরু বেচার মতো দাম বলছে না। আমার কাছে ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার গরু আছে।
মানিকগঞ্জ থেকে এসেছেন ব্যাপারী বাবর আলী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি ১৬টি গরু এনেছি- ভারতীয় আর দেশি। শুক্রবার (৯ আগস্ট) নয়টি গরু বিক্রি করেছি। আজ একটাও বিক্রি হয়নি।
তিনি বলেন, আমি ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি করেছি। মানিকগঞ্জের শিবলা থেকে আরও ছয়টি গরু আসছে।
সেনপাড়া থেকে গরু কিনতে হাটে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ঘুরে এখনো কিনতে পারিনি। ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনবো।
তিনি বলেন, রাখাল-ব্যাপারীদের সঙ্গে দামে মিলছে না। দাম বেশি চাইছে। মনে হয়, গত কোরবানির ঈদের মতোই হবে। শেষ দিন পানির দরে গরু দিয়ে বাড়ি যাবে।
শেওড়াপাড়া থেকে হাটে এসেছেন মহামিন ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ২টায় হাটে এসেছি, এখন সাড়ে ৬টা বাজে। এখনো গরু কিনতে পারিনি। ব্যাপারীরা দাম বেশি চাইছে। একটি গরু পছন্দ করেছি, ৮০ হাজার টাকা বললেও দিল না। দাম চাইছে ১ লাখ ১০ হাজার। আমরা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনবো।
তিনি বলেন, ব্যাপারীরা এখনো দাম ছাড়ছে না। ঈদের আগের রাতের আশায় বসে আছে।
হাসিল ঘরের (৪ নম্বর গেট) ক্যাশিয়ার মোস্তফা কামাল শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১০ আগস্ট) বেচাকেনা ভালো হয়েছে। হাটে অনেক ক্রেতা এসেছে। গত ঈদের তুলনায় সার্বিক অবস্থা অনেক ভালো। প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে। হাটে পর্যাপ্ত গরু আছে, আরও আসছে। রোববার (১১ আগস্ট) থেকে বেচাকেনা বাড়বে। মানুষের ঢল নামবে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমএমআই/একে