পশু কোরবানির জন্য এসব কেনাকাটার মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি জিনিসও কেনাকাটা চলছে, সেটি হলো খাটিয়া। মাংস কাটতে এই কাঠের প্রয়োজন হয়।
রাজধানীজুড়েই এখন চলছে খাটিয়া কেনাবেচা। নগরীর বিভিন্ন জায়গায়, পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে এখন খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় মিলছে এই খাটিয়া।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে কারওয়ান বাজারে খাটিয়ার দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেলো। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে। দোকানদার লতিফ শেখের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তিনি খাটিয়া বিক্রি করে থাকেন। এটা তার মৌসুমি ব্যবসা। প্রতিদিনই ৬০-৭০টি খাটিয়া বিক্রি করে থাকেন। এবার বেচাকেনাও ভালো।
কাঁঠালবাগান থেকে কারওয়ান বাজারে খাটিয়া কিনতে এসেছেন ফয়জুল হক। তিনি বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি দেই। তাই প্রতি বছরই এই খাটিয়া কিনতে হয়। কেননা এটি সারা বছর ধরে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। বছরেতো মাত্র একবারই কাজে লাগে।
কারওয়ান বাজারের আরেক দোকানদার ইব্রাহিম শেখ জানালেন, সবচেয়ে ভালো গাছের গুঁড়ি হলো তেঁতুল কাঠের। কারণ, মাংস যখন খাটিয়ার ওপর কাটা হয়, তখন কাঠ ভালো না হলে, মাংসের সঙ্গে কাঠও মিশে যায়। কাঠের খাঁজে খাঁজে মাংস ঢুকে যায়। তবে তেঁতুল কাঠের ক্ষেত্রে এটি হয় না। তাই তেঁতুল কাঠের চাহিদা বেশি।
নগরীর মালিবাগ মোড়েও দেখা গেলো খাটিয়া বিক্রি করতে। রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান সাজিয়ে এসব খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে। দোকানি ফিরোজ খান, তিনিও একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকায় খাটিয়া বিক্রি করছেন। তিনি জানান, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। প্রতিদিন ৪০-৫০টি খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগে খাটিয়া কিনতে আসা ক্রেতা মামুন হোসেন জানালেন, আমরা প্রতি বছর হাট থেকে পশু কিনলেও খাটিয়া এলাকা থেকেই কিনে থাকি। পশুর হাট থেকে গরু কেনার সময় বেশির ভাগ ক্রেতাই প্রয়োজনীয় এ জিনিসটি কেনেন না। কেননা হাট থেকে এটি কিনে বহন করে নিয়ে আসা ঝামেলা। সে কারণেই এলাকা থেকেই খাটিয়া কিনে থাকেন।
কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য বিশেষ এই গাছের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর প্রায় সব জায়গায়। সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানিরা খাটিয়া বিক্রি করছেন। আবার অনেকেই ভ্যানে করেও ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
টিআর/জেডএস