এই বলে চুপ করে ছিলেন আল্লাদী রানী পাল। পাশে থাকা আল্লাদীর মেয়ে রাধা রানীর চোখ বেয়ে পানি পড়ছিল, মনে হচ্ছিল এ যেন আনন্দ অশ্রু।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিল্লুর রহমানের অর্থায়নে নির্মিত নিজের ভবনে (একতলা বিশিষ্ট দালান) বসে রোববার (১১ আগস্ট) সকালে এসব কথা বলছিলেন সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের অসহায় আল্লাদী রানী পাল।
এর আগে ইউএনও তানজিল্লুর রহমান ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে আল্লাদী রানীর ঘর উদ্বোধন করেন। এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আল্লাদীর মেয়ে রাধা রানী বলেন, আমাদের ঘরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হত। রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে মাঝে মাঝেই মা অসুস্থ্য হয়ে যেত। ইউএনও সাহেব আমাদের একটি ঘর করে দিয়েছেন। এখন এখানে শান্তিতে থাকতে পারবো। এছাড়াও আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন, যা দিয়ে মাটির টালি তৈরির জন্য একটি ঘরও তৈরি করেছি।
প্রতিবেশী উজ্জল পাল বলেন, চোখের সামনে দেখেছি আল্লাদী অনেক কষ্ট করে বসবাস করত। ইউএনও সাহেব তাকে একটি দালান করে দিয়েছেন। তা দেখে আমদের ভালো লাগছে।
এর আগে ৮ মে বাংলানিউজে ‘নব্বইয়েও থেমে নেই আল্লাদীর জীবনযুদ্ধ’ এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সদর ইউএনও তানজিল্লুর রহমান আল্লাদীর দায়িত্ব নেন। পরে ৯ মে তানজিল্লুর রহমান আল্লাদীর বাড়িতে যান, বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। তখন আল্লাদীকে একটি ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এসএইচ/