ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গাবতলীর হাট অর্ধেক ফাঁকা, বড় গরু বিক্রি কম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
গাবতলীর হাট অর্ধেক ফাঁকা, বড় গরু বিক্রি কম গাবতলী গরুর হাট। ছবি: বাংলানিউজ

গাবতলী থেকে: গাবতলী পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাটে তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। ব্যাপারীরা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটে ক্রেতা বাড়বে। তবে হাটের অর্ধেক জায়গা প্রায়ই ফাঁকা। হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু তুলনামূলক বেশি থাকায় তা দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। হাটে যেসব বড় গরু আছে সেগুলোর দাম শুনে সরে পড়ছেন ক্রেতারা।

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী পশুর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ব্যাপারীরা বলছেন, হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি।

তবে বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে না। এ সব গরুর দাম বললে তা শুনেই সরে পরছেন ক্রেতারা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। গাবতলী গরুর হাট।  ছবি: বাংলানিউজসরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার গাবতলীর হাট প্রায় ফাঁকা। হাটে যেসব মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু আছে তা দ্রুত বিক্রি হলেও বড় সাইজের গরুর দাম শুনে সরে পরছেন ক্রেতারা। হাটের বড় গরু গুলোর মধ্যে যুবরাজ, রাজাবাবু, টাইগার, বীর বাহাদুর, কালো হাতি, ব্ল্যাক ডায়মন্ড এখনো বিক্রি হয়নি। তবে গরু কিনতে দলে দলে হাটে আসছেন ক্রেতারা।

হাটের বড় গরু টাইগারের মালিক নাজমুল পোড়া মানিক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সিন্দিজাতের টাইগারকে গাজীপুর থেকে এ হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) সাত লাখ টাকা দাম হয়েছিল। তখন চেয়ে ছিলাম ১০ লাখ টাকা। দুপুর পর্যন্ত কেউ বিক্রি করার মতো দাম বলছে না। তবে নয় লাখ দাম হলে টাইগারকে বিক্রি করে দেবো।

ভোলার আলীনগর থেকে ব্যাপারী শাহাবুদ্দিন ও তার ভাই গাবতলীর হাটে ছোট-বড় মিলে মোট ৪১টি গরু নিয়ে এসেছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে তাদের ১৬টি গরু বিক্রি হয়েছে।  

শাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু কিনে হাটে নিয়ে এসেছি। আমার গরু বিক্রি করেছি ৭৫ টাকা (৭৫ হাজার), ১৪০ টাকা (এক লাখ ৪০ হাজার), ২০০ টাকা (দুই লাখ) থেকে ৪০০ টাকা (চার লাখ) পর্যন্ত। আমার এখনো তেমন লাভ হয়নি। আশা করি রাতে সব গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারবো। গাবতলী গরুর হাট।  ছবি: বাংলানিউজগৌরনদী আগৈলঝাড়া থেকে গাবতলী হাটে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মো. লিটন মোল্লা। তিনি বলেন, আমি ১২টি দেশি ষাঁড় নিয়ে হাটে আসি। শনিবার (১০ আগস্ট) রাত ১১টার মধ্যেই সব গরু বিক্রি করেছি। আমার গরুর দাম ছিল ৮৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে এবার লাভ করেছি ৮০ হাজার টাকা।

গাবতলী গরুর হাটের হাসিল ঘরের ক্যাশিয়ার মোস্তফা কামাল শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে হাটে বেচা-কেনার মোটামুটি হচ্ছে। শনিবারের তুলনায় সকাল থেকে হাটে বিক্রি কম। শনিবার রাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী বেশি বিক্রি হয়েছে। তবে হাটে এখনো গরু আসছে।  

হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য আলী আশরাফ মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে ভালোই গরু বিক্রি হয়েছে। আশা অনুযায়ী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন বিক্রি হচ্ছে না। আশা করি হাটে এখন ক্রেতা কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি বাড়বে। তবে হাটে এখনো গরু আসছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এমএমআই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।