রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে সদ্য চালু হওয়া স্বতন্ত্র ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীদের খোঁজ-খবর নিতে এসে তিনি এ কথা জানান।
মেয়র সাদিক বলেন, আমরা বরিশাল শহরকে অন্য সব শহরের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি পরিচ্ছন্ন রাখছি।
তিনি বলেন, আমি নগর সেবকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখার উদ্যোগসহ পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া নগরের সমস্ত ড্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার করেছি। যাতে পানি জমে মশার বংশবিস্তার না হয়। আমাদের শহরে এখন মশার উপদ্রব নেই বললেই চলে। তারপর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীরা যারা শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তারা হয়তো ঢাকা নয়তো অন্য জেলা থেকে এসেছেন। আমাদের শহরে বা জেলা থেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নেই বললেই চলে। দুই একজন আক্রান্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শেবাচিম হাসপাতাল যেহেতু দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম একটি হাসপাতাল। তাই এখানে পুরো বরিশাল বিভাগের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। আমরা সে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে একটি স্বতন্ত্র ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করতে পেরেছি। এর ফলে রোগীদের ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি চিকিৎসকরাও ভালোভাবে চিকিৎসা দিতে পারবেন।
এরআগে, শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সদ্য চালু হওয়া ১০০ শয্যার স্বতন্ত্র ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীদের খোঁজ-খবর নেন মেয়র সাদিক। এ সময় ওয়ার্ডটিতে যাতে কেউ জুতা নিয়ে না প্রবেশ করেন সে জন্য হাসপাতাল পরিচালককে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নারীদের মেডিসিন ওয়ার্ডে যেসব রোগীরা বারান্দায় গরমে কষ্টে রয়েছেন। তাদের জন্য দ্রুত ফ্যানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন মেয়র সাদিক।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেনসহ হাসপাতাল প্রশাসন ও চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/