ধারণা করা হচ্ছে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় কে বা কারা পিটিয়ে হত্যা করেছে সাপটিকে। সাপের মরদেহে পচন ধরায় তা থেকে ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার লোকজন ভিড় করছে মরা অজগরটি দেখতে। তারা জানায়, এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন (৪০) কয়েকদিন আগে এখানে ফেলে গেছেন সাপটি। পরে সাপের মরদেহে পচন ধরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, সাপটি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। পরিণতিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় তা। তাদের অভিযোগ জাহিদ সাপটি হত্যা করে থাকতে পারে।
এ নিয়ে কথা হয় জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার মুরগির খামারের সামনে গত ৭ আগস্ট মৃত অবস্থায় ওই সাপটি পড়ে ছিল। পরে আমার লোকজন সাপটি ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে আসে। তবে আমি সাপটিকে মারিনি।
এ নিয়ে কথা হয় রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহের সাথে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বনজ সম্পদ ধ্বংস করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। মৃত সাপের চামড়াও অনেক মূল্যবান। অথচ কে বা কারা সাপটিকে মেরে ফেলে গেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মো. হায়দার আলীর বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পচন ধরা সাপটি দ্রুত অপসারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এনটি