ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বেতাগীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
বেতাগীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ খেয়া পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ আগস্ট) দিনগত রাত ৮টার পর যদি কোনো যাত্রী খেয়া পার হতে চায় তাহলে তাকে গুণতে হয় ৩ থেকে ৪শ টাকা।

বেতাগীর বিষখালি নদীর কাঠবাজার সংলগ্ন কচুয়া-কাঁঠালিয়া খেয়াঘাট, কালিমন্দির সংলগ্ন বেতাগী-শৌলজলিয়া খেয়াঘাট, মোকামিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন মোকামিয়া-কাঁঠালিয়া এবং বদনীখালি বাজার সংলগ্ন বদনীখালি-বামনা খেয়াঘাট থেকে পারাপারের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়।

অভিযোগ, চলতি বছরের ভাড়া আদায়ের চার্ট না টানিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ও ২-৩টি ট্রলার দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নদী পারাপার করানো হয়। এছাড়াও ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় জনপ্রতি ৩ টাকার পরিবর্তে ১০-১৫ টাকা, বাইসাইকেল ৪ টাকার পরিবর্তে ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল ১০ টাকার পরিবর্তে ৬০-৭০ টাকাসহ বিভিন্ন মালপত্রের ভাড়া নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাঝি বাংলানিউজকে জানান, ঘাটের সরদার ও বড় ভাইদের আপ্যায়ন করতে হয়। বিভিন্ন মহলে চাঁদা দিতে হয়। ফলে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে ভাড়া আদায় করে আমাদের পুষিয়ে নিতে হয়।

রোববার বিকেলে কচুয়া-কাঁঠালিয়া পারাপার হওয়া এক যাত্রী বলেন, খেয়ায় ভাড়া বেশি নিয়েছে। আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিব আহসান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি শুনেছি। শিগগিরই ঘাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।