ঈদের দিন সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ধোলাইখাল নতুন রাস্তার খোকা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি একথা জানান।
মেয়র বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করবো।
‘পরিবেশবাদী সংগঠনসহ অন্যান্য সব সংগঠন এ ব্যাপারে আমাদেরকে সাহায্য করছে। আমরা ঘোষিত সময়ের মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী নগরবাসীকে উপহার দিতে পারবো’।
দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন পুরান ঢাকায় প্রচুর পরিমাণে কোরবানি হয়ে থাকে। দ্বিতীয় দিনের কোরবানির বর্জ্য রাতের মধ্যেই অপসারণ করবো। ঈদের তৃতীয় দিনও কিছুকিছু কোরবানি হতে দেখি। সে বর্জ্যগুলো অল্প সময়ের মধ্যে অপসারণ করে জনগণকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেবো।
সাঈদ খোকন বলেন, নগরবাসীকে আহ্বান জানাবো যারা কোরবানি করছেন কোরবানির পর রক্ত ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিন। আমরা এরইমধ্যে ব্লিচিং পাউডার পৌঁছে দিয়েছি, আপনারা ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন। বর্জ্য রাখার ব্যাগ পৌঁছে দিয়েছি, কোরবানির বর্জ্য ব্যাগে ভরে নিকটস্থ কন্টেইনারে ফেলুন। আমরা সবাই মিলে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী নিশ্চিত করবো।
কোরবানির জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও অনেকেই বাসা বাড়ির সামনে কোরবানি করে থাকেন- এ ব্যাপারে মেয়র বলেন, আমরা এবারো লক্ষ্য করেছি, কোরবানির জন্য যেসব স্থান নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে, সেসব স্থানে অনেকেই কোরবানি করেননি। অনেকেই নিজের বাড়ির আঙিনায়, রাস্তায়, ফুটপাতে কোরবানি করেছেন। কোরবানির পরে ভালো করে রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যাগের মধ্যে ভরে বস্তাবন্দি করে কন্টেইনারে ফেলুন, আমরা পরিষ্কার করে দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯/আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এএ/জেডএস